আমের মিষ্টি সুগন্ধ ও স্বাদ পৃথিবীর অন্যান্য আমের থেকে ভিন্ন। তাই সারা পৃথিবীতে স্বাদ ও গন্ধের জন্য এই আম বাণিজ্যিক ভাবে বহুল পরিমানে চাষ করা হয়। সবার কছে এই আম খুবই জনপ্রিয়।
পাকা আমে প্রোটিনের মাত্রা বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম আমে দুই হাজার ৭৪০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে। এতে ১.৩ গ্রাম আয়রন, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’, ০.৯ মিলিগ্রাম রিভোফ্লেভিন এবং ০.০৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন থাকে। শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য নিয়মিন ও পরিমানমত আম খান।
ত্বক মসৃণ, খোসা পাতলা, বীজ(আম আটি) ছোট আকৃতির, রসালো ও সাথে তো একটা মৌ মৌ ঘ্রাণ আছেই। শাঁস নরম এবং আঁশবিহীন অতি সুমিষ্ট আম। একটা আদর্শ আম বলতে যাকে প্রধান ধরা হবে সেইটা হলো হিমসাগর আম।
আকার: মাঝারি আকারের একটি আম। গড় ওজন ২১০-৩৫০ গ্রাম । মানে এক কেজি হইতে 4/5 আম প্রয়োজন।
পরিপক্ক সময়কাল: হিমসাগর আম জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে এবং পুরো জুন মাস বাজারে পাওয়া যায়।
প্রাপ্তি স্থান: বাংলাদেশর যেসকল স্থানে আম চাষ হয় সব জায়গায় কিছু পরিমাণের পাওয়া যায় কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর আম কেই GI স্বীকৃতি প্রাপ্ত। এর উন্যতম কারণ এই জেলায় আম আকারে বড় হয়, সবচেয়ে বেশি মিষ্টি , মন মাতানো ঘ্রাণ ও সব চেয়ে বেশি উৎপাদন হয় ।
দাম: আমটির চাহিদা বাংলাদেশের সর্বত্রই। সাথে বিদেশেও এই আম রপ্তানি করা হয়। আবার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। তাই অন্যান্য আম এর চেয়ে এই আম এর দাম তুলনামলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। আপডেট দাম ওয়েবসাইটেই দেওয়া আছে।
“আসল আমের স্বাদ পেতে হলে ভালভাবে পাকিয়ে খাবেন !!!”
প্রাকৃতিক ফলে বিদ্যমান ক্যারোটিন গ্রহণ করলে সেগুলো ফুসফুস ও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
তাজা আম পটাশিয়ামের ভালো কাজ করে যা মানবদেহের কোষ ও তরলের উপাদান, যা রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আম আঁশযুক্ত খাবার হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, পেট পরিষ্কার রাখে এবং রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
ভিটামিন সি ও বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
Copyright © 2025 aamerrajjo.com | This website made with by Priyo Design IT.